ভ। আগে একেবারেই মধুর ধার দিয়েই যেত না, কেবল ময়লাতেই থাকত। এখন যাঁর কৃপায় মধুর স্বাদ পেয়েছে, তাঁরই কৃপায় সময়ে মৌমাছির মতো স্বভাব পেয়ে অবিরত মধুতেই থাকবে! তুমি এখন তাঁতে লেগে থাক। তাহলেই সব হয়ে যাবে। ঠাকুর একটি গান করতেন,
হরিসে লাগি রহরে ভাই!
তেরা বনত বনত বনি যাই॥
অঙ্কা তারে, বঙ্কা তারে, তারে সুজন কসাই,
শুগা পড়ায়কে গণিকা তারে, তারে মীরাবাঈ॥
দৌলৎ দুনিয়া মালখাজনা, বেনিয়া বয়েল চালাই,
এক বাৎসে ঠাণ্ডা পড়েগা, খোঁজ খবর না পাই॥
য়্যাসি ভক্তি কর ঘট ভিতর, ছোড় কপট চতুরাই,
সেবা বন্দি আউর অধীনতা, সহজে মিলি রঘুরাই॥
ঠাকুর আর একটি সুন্দর উপমা দিতেন। বর্ষাকালে মাঠ একেবারে ডুবে যায়, তখন মাঠ আর দেখা যায় না; মাঠ যেমন পুকুর! তখন মাঠ কি করে? মাঠ কেবল রাতদিন আকাশপানে তাকিয়ে চুপ করে পড়ে থাকে; সময়ে দেখতে পায় যে, যে জল তাকে ডুবিয়ে রেখেছিল, সে জল আর নেই, সব শুকিয়ে গেছে। তুমিও তেমনি রামকৃষ্ণদেবের মুখপানে তাকিয়ে বসে থাক; সময়ে দেখতে পাবে যে, যে কামকাঞ্চনের রস তোমার মনকে ডুবিয়ে রেখেছে, সে রস আর নেই।
ঠাকুর আর একটি কথা বলতেন - হে জীব! তোমার দুটি হাত, একটি ঈশ্বরের পাদপদ্মে রাখ, আর একটি সংসারে রাখ, যার বেশি জোর, সে পরে টেনে নেবে।
পা। পরমহংসদেবের কথাগুলি কি সুন্দর! যতক্ষণ এঁর কথা শুনি ততক্ষণ কোন কিছুই মনে থাকে না। মনটা যেন তাঁর কথায়
No comments:
Post a Comment