সে গাছের একটা বিশেষ গুণ এই যে, তার ছায়া শীতকালে উষ্ণ ও গ্রীষ্মকালে শীতল। পুস্তকপাঠে গাছের গুণ মাত্র তুমি জানলে, কিন্তু গাছটি কেমন তা চক্ষে কখনো দেখনি। সুতরাং গাছটি হঠাৎ দেখলে চিনবারও কোন শক্তি নেই। একবার বিদেশ-ভ্রমণে দারুণ গ্রীষ্মকালে পথশ্রান্ত, পিপাসায় শুষ্ককণ্ঠ, ঘর্মাক্ত-কলেবর একজন ঘটনাচক্রে এক বৃক্ষতলে উপস্থিত। বৃক্ষতল বড়ই শীতল, কিঞ্চিৎকালমধ্যে পরম তৃপ্তি বোধ হলো। প্রাণের আরামপ্রদ বৃক্ষটি বারবার দেখতে দেখতে পুস্তকে যে বটের কথা পড়েছিল তা তার মনে পড়ে গেল। গাছটি বট কি না বিশেষরূপে জানবার জন্য শীতকাল পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে দেখলে শীতে বৃক্ষ-তল খুব গরম। এখন তুমি চিনতে পার বা নাই পার, ঐ গাছটিকে বটগাছ বলবে কি না বল দেখি?
একটি গীত শোন -
আমি সাধে কি রামকৃষ্ণ পূজি।
সে যে আমার অকূল পাথার, ভব-নদীর করুণ মাঝি।
সে যে আমার পরম সখা, নিজে খুঁজে দিলেন দেখা,
শত দোষে হয় না বাঁকা, যা বলি হন তাতেই রাজি।
সদাই পাছু পাছু ফিরে, পাছে কিছু পড়ি ফেরে,
ভেবে মরি বুঝতে নারি, সে ভজে কি আমি ভজি।
সে যে আমার অতি আপন, প্রাণের মতন করেন যতন,
কে আর এমন সুহৃদ সুজন, যেমন আমার রামকৃষ্ণজী॥
No comments:
Post a Comment