Thursday, March 29, 2018

১২৩

বুঝত, ঠাকুর পরাজিত হলেন। এমন সময় ঠাকুর কি করতেন জান? তিনি বলতেন, 'আমি মল কি মূত্র ত্যাগ করতে যাব।' একবার যাব বললে আর থাকবার জো নেই; যেমনি বলা, তেমনি ওঠা। ভক্তেরা প্রভুর ধারা অনেক বুঝেন; ঠাকুরকে উঠতে দেখে অমনি একজন জলপাত্র নিয়ে ঠাকুরের পিছু পিছু চললেন।

পা। ঠাকুর পরাজিত হলেন - এ কেমন কথা?

ভ। তুমি এত ব্যস্ত হচ্ছ কেন? আগে সবটুকু শোন। ঠাকুরের পরাজয়ের খুব কারণ আছে। বিদ্যাভিমানীদের বাসনাই বিচারে জয়লাভে প্রশংসিত হয় এবং তাঁদের অধ্যয়নের উদ্দেশ্যই তাই। ঠাকুরের ঢোলপেটা নাম শুনে, তাঁর কাছে ঐ বাসনাতেই এসেছেন; ঠাকুর কল্পতরু; যার যা বাসনা, তাই তিনি পূর্ণ করেন। অমানীকে অতিমান দিতে ঠাকুরের মতো এমন দাতার কথা কোথাও শুনিনি।

তারপর পথে যেতে যেতেই ঠাকুরের ভাবাবেশ; চলছেন ঠিক মাতালের মতো আবার শ্রীমুখে বিড় বিড় করে কত কি বলতেন, কখনো কিছু বুঝা যেত, কখনো কিছু বুঝা যেত না। এভাবে যথাস্থানে একবারমাত্র বসেই দ্রুতপদে ফিরে আসতেন, আর সেই তার্কিককে ছুঁয়ে দিয়ে বলতেন, কই তুমি কি বলছিলে, বল দেখি। এই ছুঁয়ে দেওয়াটিই করুণানিধির অপার করুণা। প্রভুদেবের স্পর্শে তার্কিক পণ্ডিতেরা কেমন এক রকম হয়ে যেতেন - সেটা কেমন জান? সর্পবিদ্যাবিদ্ সাপুড়ে ছড়ি হাতে করে উন্নত-ফণা সাপকে ধরলে সাপটি যেমন হয়, পণ্ডিতদের অবস্থাও ঠিক তেমনি হতো। এখন আর আগেকার চক্রধরা ভাব নেই, লম্বা-চওড়া শ্লোক আওড়ে ফোঁসফোঁসানি নেই - সে বিস্তৃত-ফণা ভুজঙ্গম এখন যেমন কুঁচে। এভাবে কিছুক্ষণ ঠাকুরের দিকে পলকহীন চোখে তাকিয়ে থাকতেন; তারপরই কেউ বা হাঁটু গেড়ে জোড়হাতে ঠাকুরের স্তব-স্তুতি করতেন,

No comments:

Post a Comment