এমন দয়ালু, যে একবার তাঁর শরণাপন্ন হয়, সে যেখানে তাঁকে নিয়ে যায় তা শ্মশানই হোক আর মশানই হোক তিনি পরম প্রীতিতে সঙ্গে যান ও সকল বিপদ থেকে রক্ষা করেন। সাবধান, বারবার সাবধান - রামকৃষ্ণদেবকে ছেড়ো না। যদি বল আমি মলিনাত্মা, মলিন মন দ্বারা পরিচালিত, কাম-ক্রোধাদির অধীন এবং তজ্জনিত কত পাপকর্ম করেছি, আমার আর উপায় কি আছে! তাহলে তুমি এখনো রামকৃষ্ণদেবকে দেখতে পাওনি; তাঁর দয়ার অপার পসারের কিছুই জানতে পারনি; রামকৃষ্ণলীলার আভাসও পাওনি। ভগবানের ভাণ্ডারে 'দয়া' নামে যে-একটি অপূর্ব জিনিস আছে, সে দয়াতে রামকৃষ্ণদেবের শ্রীদেহখানি গঠিত। দয়াময় ঠাকুরের শ্রীঅঙ্গে কেবলমাত্র দয়া বই অন্য উপাদান নেই। সেই দয়ার বলে ও গুণে স্বয়ং সৃষ্টীশ্বর রামকৃষ্ণরূপধারী তা কেন জান? তোমার আমার মতো ঘৃণ্য, অস্পৃশ্য, হীনবুদ্ধি জীবের উদ্ধারের জন্য। রামকৃষ্ণদেবের রূপ - পতিতপাবনরূপ, কাঙালশরণরূপ, দীনবন্ধুরূপ। যে-রূপের এ গুণ ও এ মাধুরী, সে রূপের কাছে তুমি আবার মলিনাত্মা, মলিনমন, রিপুর অধীন - এটা ভেবে ভবসিন্ধুপারে নিজেকে উপায়বিহীন মনে করে হতাশ হচ্ছ! হায় রে বুদ্ধি! দেখ - পুলিস যেমন চোরকে তার সাহায্যকারীদের সহিত গ্রেফতার করে, দয়ানিধি রামকৃষ্ণদেবও ষড়রিপুপরিবেষ্টিত ইন্দ্রিয়াধিরাজ মনকে তোমার যাবতীয় কৃত অপকর্মের সহিত পাকড়াও করে নিয়ে যাবেন। পুলিসের বিচারালয়ে যেমন অপরাধীর কারাবাস - শাস্তির বিধি, দয়াল রামকৃষ্ণদেবের বিচারালয়ে ভবকারাবাস-মুক্তির বিধি - বেকসুর খালাস। পুলিস ন্যায়বান, প্রভুদেব দয়াল। প্রভুদেবের মধ্যে দয়ার উত্তাল তরঙ্গ এত প্রবল যে, সেখানে অগণ্য অত্যুচ্চ-শৃঙ্গবিশিষ্ট কোটি-হিমাচলসদৃশ গুরুকলেবর মানুষের মতো যে কেহ উপনীত হয়, তাকেই যে কোথায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়, তার আর নামগন্ধ-মাত্র পাওয়া যায় না। রামকৃষ্ণের শরণাপন্ন
No comments:
Post a Comment