হলে তিনি তাঁকে অচিরে কাছে নিয়ে যেতে নিজের নিয়মে বদ্ধ আছেন। এজলাসে একবার দয়াময় মূর্তি দর্শন করামাত্র সে খালাস, তার মন খালাস ও গত কর্মফলমাত্র সমূলে বিনষ্ট হয়। এখন নামের মহিমায় প্রভুর মহিমা বুঝলে তো? খুব সাবধান! দয়ানিধি 'রামকৃষ্ণ' নামটি ছেড়ো না।
বিচার-বুদ্ধি দ্বারা ভগবানের সাকারবাদের প্রতিবাদ করা, ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের মতে ঘোর অজ্ঞানের কাজ। সকল ভাবে সকল মতে সাধনা দ্বারা ভগবানকে নানাভাবে নানারূপে প্রত্যক্ষ করে ভগবান রামকৃষ্ণদেব যাবতীয় বিবদমান ধর্মপন্থীদিগের বিরোধ-মীমাংসার উদ্দেশ্যে এই বলছেন - তোমরা যে যা বলছ সব সত্য; আপনার ভাবে, আপনার পথে সরল প্রাণে চলে যাও, অবশ্যই ঈশ্বরকে এক সময়ে লাভ করবে। এ সুবিশাল সার্বভৌম উদার ভাব একমাত্র রামকৃষ্ণদেবের মধ্যে প্রকট। এখন তাঁর শ্রীচরণাশ্রিত ভক্তগণের মধ্যেও এ ভাব পরিলক্ষিত হয়। যেখানে তাঁর কৃপা, সেখানে কোন ধর্মের বা মতের প্রতি বিদ্বেষভাব স্থান পায় না। রামকৃষ্ণপন্থীরা ভগবানের যাবতীয় ভাব রূপ অতি শ্রদ্ধার সহিত শিরোধার্য করেন। কোন পন্থীর সঙ্গে তাঁদের সম্পূর্ণ মিল না হতে পারে, কিন্তু তাঁদের কোন ধর্মের বা মতের প্রতি বিদ্বেষভাব মোটেই নেই; এটা জাজ্বল্যমান দেখতে পাওয়া যায় এবং এটাই রামকৃষ্ণভক্তদের এক বিশেষ লক্ষণ। সন্তান-সন্ততিরা যেমন মা-বাপের স্বভাব স্বভাবতঃ আপনা হতেই পেয়ে থাকে, রামকৃষ্ণভক্তেরাও তদ্রূপ এ উদার ভাবটি তাঁদের ঠাকুরের নিকট পেয়েছেন। ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের ভাবের কথা বারংবার বলেছি; তাঁর মধ্যে এ জগৎ-গ্রাহ্য, জগৎ-প্রশংসিত, সার্বভৌম বিশাল ভাবের বিকাশ থাকা হেতু, তিনিই একমাত্র জগদ্গুরু নামের বাচ্য এবং যাবতীয় পথে বা মতে তিনিই একমাত্র অধিষ্ঠাতা দেবতা, এটাই তাঁর পরিচায়ক। লোক-প্রকাশক সূর্য-কিরণে প্রকাশমান যাবতীয় বর্ণের
No comments:
Post a Comment