আর একটি গান -
"এই যত সব মাগীর খেলা,
মাগীর গুপ্তভাবে আপ্তলীলা।
সগুণে নির্গুণে বাধিয়ে বিবাদ,
ঢেলা দিয়ে ভাঙ্গছে ঢেলা,
মাগী সকল কাজে সমান রাজী,
নারাজ খালি কাজের বেলা॥
রামপ্রসাদ বলে, থাকরে বসে ভবার্ণবে ভাসিয়ে ভেলা,
উজান এলে উজিয়ে যাবি, ভাটিয়ে যাবি ভাটার বেলা।"
রামপ্রসাদ যে কালীকে চৌদ্দপোয়া সসীম আকারে দেখেছিলেন, সেই কালীকেই ব্রহ্মময়ী দেখেছিলেন। জগৎপূজ্য যে ব্যাস পুরাণ-প্রণেতা, তিনিই আবার বেদান্তের লেখক। ব্যাসবিরচিত বেদান্তের ভাষ্যকার শঙ্কর ও রামানুজ। জন্মে জন্মে সাধনসম্ভূত ভগবৎকৃপা ব্যতীত ব্যাস-প্রণীত গ্রন্থাদি জীবের কোন প্রকারেই ধারণা হয় না।
কোথাও কোন ব্যক্তির বিষয়ে কোন মতামত প্রকাশ করবার পূর্বে যেমন তাঁর বিশেষ পরিচয় অবগত হওয়া প্রয়োজন, তদ্রূপ ঈশ্বরতত্ত্ব সাধারণের মধ্যে বলবার পূর্বে ঈশ্বর-লাভ হওয়া চাই। জীবের ঈশ্বর-লাভ হলে কেউ কেউ আর কথা কইতে পারেন না, কেউ বা সৎবিষয়-আন্দোলন দ্বারা যতদিন বাঁচেন, সেই কয়েক দিন সদালাপে অতিবাহিত করেন। ঈশ্বর-দর্শন, ঈশ্বর-লাভ ও ঈশ্বরের আজ্ঞা ব্যতীত ঈশ্বর-বিষয়ে কোন মতামত প্রকাশের অধিকারী কেহ হতে পারেন না। যাঁরা সাকার উপাসনার প্রতিবাদী, তাঁরা কোন ভাবেরই উপাসক বা সাধক নন। যে-কোন ভাবেরই হউক, ঠিক ঠিক উপাসক যিনি, তিনি কোন উপাসকের নিন্দা করতে পারেন না; তার কারণ, তিনি বেশ জানেন ও বুঝেন যে, সকলেই ভিন্ন
No comments:
Post a Comment