Thursday, March 29, 2018

১১৯

হবে। সাগরের মধ্যে যতই প্রবেশ করা যায়, ততই যেমন সাগরের প্রকাণ্ডতা বৃদ্ধি পায়, তেমনি ভগবানের খেলা যতই দেখা যায়, ততই তাঁর খেলার আকার বাড়ে। খেলা রকমারিতেও যেমন অনন্ত, আকারেতেও তেমনি অনন্ত। মানুষের মাথায় অনন্ত জিনিসটির ধারণা হয় না। যিনি অনন্তের তিলের তিল তস্য তিলের আভাস পেয়েছেন, অর্থাৎ সেই প্রকাণ্ডতার - বৃহত্ত্বের কণার কণামাত্র আভাস পেয়েছেন, তিনি অনন্ত শব্দের, জোর অ-পর্যন্ত উচ্চারণ করেই নির্বাক ও আত্মহারা হন। এই আত্মহারা কেমন জান? - শুঁড়ির দোকানে কত জালা-জালা পিপে-পিপে মদ আছে, তার মধ্যে এক বোতল খেয়েই যেমন একজন বাহ্যহারা হয়, অনন্তের আভাসেও বাহ্যহারা হয় তদ্রূপ।

পা। অবতার বা সাকারবাদে অনেক লোক আপত্তি করেন ও বলেন - যিনি অনন্ত ও অখণ্ড, তিনি কখনো সান্ত বা খণ্ড হতে পারেন না; অতএব অবতারবাদে - কি কোন মূর্তিবিশেষে সেই অনন্তের, অখণ্ডের আরোপ কেবল ভ্রান্তিমূলক।

ভ। যিনি এরূপ কথা বলেন, তাঁর মাথায় মোটেই অনন্তের ভাবের আভাস পর্যন্ত নেই। অনন্তের অর্থই তিনি উপলব্ধি করেননি। তিনি ভগবানকে যে অনন্ত বিশেষণ-ভূষায় ভূষিত করেন, এ কেবল মুখে, প্রাণে প্রাণে নয়। আমার বক্তব্য - যিনি অনন্ত, তিনি সর্বপ্রকারে ও সর্ব অবস্থায় অনন্ত; আকারে অনন্ত, রূপে অনন্ত, ভাবে অনন্ত, রসে অনন্ত, গন্ধে অনন্ত, শব্দে অনন্ত, স্পর্শে অনন্ত। তিনি অখণ্ড ও খণ্ড দুই-ই। যিনি অনন্ত, তিনি যে রূপেই বা যে সীমাবিশিষ্ট আকারেই পরিণত হউন না কেন, তাঁর অনন্তত্ব সকল অবস্থাতে বিদ্যমান থাকে। তিনি অনন্তেও যেমন অনন্ত, সীমাবিশিষ্ট খণ্ডেও তেমনি অনন্ত। এর উপমা গঙ্গাজল; হিমালয় হতে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রবহমানা আগোটা ভাগীরথীর জলে যে পাবনী-মহিমা আছে,

No comments:

Post a Comment