নিজে চেনে না। সে কি, কোথা হতে এসেছে, কোথা রয়েছে, কোথা যাবে, কি করবে, এ সকল কিছুই জানে না। মা রঙ্গময়ীর প্রসন্নতা-প্রসূত চৈতন্য বিনা কিছুই চেনবার বা জানবার উপায় নেই।
জীবজগতে রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ ও শব্দের যে লক্ষকোটি রকমারি দেখছ, এ সব রকমারিই এক পাকের ভিয়ানে উৎপন্ন। এদের মধ্যে ছোট-বড় নেই, ভাল-মন্দ নেই, শ্রেষ্ঠ-নিকৃষ্ট নেই। বিশাল সৃষ্টির মধ্যেও যা আছে, এক একটি দেহাধারেও সে সব আছে। রূপান্তর গুণান্তর বই কারও নাশ নেই। এসব চৈতন্যবান বিনা আর কেউ দেখতে পায় না।
এখন বুঝ - চৈতন্য কি। এ দেবদুর্লভ চৈতন্য রামকৃষ্ণদেবের ঈষৎ করুণা-কটাক্ষে জীবের দেহে সমুদিত হতো। চৈতন্যই ভবসাগর উত্তীর্ণ হবার একমাত্র তরণী এবং তাতে রামকৃষ্ণদেবই একমাত্র কর্ণধার।
ঠাকুর অন্ধ জীবকে তাঁর এ অপার করুণার ও মহাশক্তির পরিচয় দেবার জন্য সময় সময় ভাবাবেশে বলতেন - জাতসাপ ধরলে, বড় বেশি ডাকতে হয় না - একবার কি দুবার, জোর না হয় তিনবার - এর মানে কি জান? কতকগুলি সাপের মুখে কালকূট বিষ থাকে, তাদের জাতসাপ বলে, যেমন - গোখরা, কেউটে, কালিয়নাগ ইত্যাদি; আর কতকগুলির বিষ নেই, যেমন - মেটেলি, ঢোড়া ইত্যাদি। যে-সব সাপের বিষ নেই, তারা যদি ব্যাঙ ধরে, তাহলে ব্যাঙকে অনেকক্ষণ কেঁও কেঁও করে ডাকতে হয়; কিন্তু যদি বিষধর সাপ ব্যাঙকে ধরে, তাহলে বেশি ডাকতে হয় না, কেন না বিষের জোরে শীঘ্রই তাকে জেরে ফেলে।
এ উপমায় ঠাকুর নিজের পরিচয় দিয়ে বলতেন যে, আমি এমন জাতের - যাকে ছোঁব, তাকে বড় বেশি তর্ক-বিতর্ক করতে হবে না, শীঘ্রই তার কাজ মিটবে।
ঠাকুর আবার কখনো কখনো বলতেন - কাঁচপোকা আরশোলাকে
No comments:
Post a Comment