Thursday, March 29, 2018

১২৮

ধরলে আরশোলার বর্ণটা ঠিক কাঁচপোকার গায়ের বর্ণের মতো হয়ে যায় - এর মানে, আমি (ঠাকুর) যাকে ধরব, আমার মতো তার বর্ণ হবে। গিরিশবাবুকে বলেছিলেন, এ বেলা খেয়েদেয়ে ভোগ করে নে; এর পরে আর হবে না।

ঠাকুরের অনেকগুলি ধনী, মানী, গুণী ভক্তও প্রথমতঃ অর্থাৎ ঠাকুরের দর্শন করবার পূর্বে মাত্র নাম শুনে বলেছিলেন - এ বয়সে কত হংস দেখলাম - যদি যাই নাক মোলে দিয়ে আসব; কেউ বলেছিলেন, দু কথায় থ বানিয়ে দিয়ে আসব। গিরিশবাবুও প্রথম দর্শনে বলেছিলেন, এ ঊনবিংশ শতাব্দীতে অনেক বুজরুকি দেখলাম, কিন্তু প্রভুর কেমন মোহিনী শক্তি! একবার কি দুবার তাঁর সরল বালক-সুলভ স্বভাব ও পরমানন্দময় মূর্তি-দর্শনে অভিমানী ভক্তেরা এ জন্মের মতো শ্রীপদে বিকিয়ে গেলেন, তাঁদের পূর্বেকার যুক্তি তর্ক বিচার বুদ্ধি অভিমানাদি রামকৃষ্ণরূপ-সাগরে কোথায় তলিয়ে গেল, তার আর কোন খোঁজ-খবর পেলেন না। ঠাকুর পরম রূপবান - দেখলে আর বাঁচাও নেই। এমন অরূপের রূপের ছবি-সৃষ্টি কেউ কখনো দেখেননি। কেবল রূপেই যে মোহিনী শক্তি তা নয়, গুণেও তেমনি মোহিনী শক্তি। অতি সুন্দর বাঁকা বাঁকা চোখ দুটি, কান পর্যন্ত টানা। তাতে আবার এমন আকর্ষণী শক্তি যে, সে চোখ কারু পানে তাকালে তার রক্ষা নেই।

মনপাখী দিয়ে ফাঁকি পালাতে না পারে।
অনিবার্য শরাঘাত সন্ধানিলে কারে॥
ধনুশরে মারে আঁখি - শরে দেয় প্রাণ।
আঁকিতে নারিনু বাঁকা আঁখির সন্ধান॥
- রামকৃষ্ণপুঁথি

প্রশস্ত ললাট, ঈষৎ রক্তিম কুঁদেকাটা ঠোঁট দুটি, নিরুপম মুখখানি ধীর মন্দ সমীরণে আন্দোলিত কালিন্দীর স্বচ্ছসলিলের ন্যায় মৃদু হাসিতে ঢল ঢল, যেন তায় চাঁদের কিরণ মাখা, পরিমিত গ্রীবা,

No comments:

Post a Comment