বিভিন্ন প্রকারের - সাকারবাদী, যোগপথাবলম্বী, বৈদান্তিক, দরবেশ, খ্রীস্টান সকলেরই সমাবেশ হতো। এই রসে ভরা বসুন্ধরা যেমন যাবতীয় ফুল-ফল-প্রসবিনী গুল্ম-লতা-বৃক্ষ-রাজির পুষ্টিকর উপাদান বহন করে, আমাদের রামকৃষ্ণদেবের শ্রীদেহেও ঠিক সেরকম সকল মতের, সকল পথের লোকের পুষ্টিসাধিকা শক্তিরস বহন করে। এজন্যেই রামকৃষ্ণদেবের নাম বিবাদভঞ্জন জগদ্গুরু। রামকৃষ্ণদেবের শরণাপন্ন যিনি হয়েছেন, তাঁরই অভীষ্টসিদ্ধি ও ইষ্টলাভ হয়েছে। যিনি অন্যরূপের দর্শনের জন্য রামকৃষ্ণদেবের প্রদর্শিত পথে তাঁর সঙ্গে যান, তিনি তখন রামকৃষ্ণকে বুঝতে বা চিনতে পারেন না। পরে যখন রামকৃষ্ণের কৃপায় পূর্ণ-মনোরথ হন, তখন রামকৃষ্ণদেবকে বুঝতে পারেন ও চিনতে পারেন।
পা। কি বুঝেন, কি চিনেন?
ভ। এটি বুঝেন, আর এটি প্রত্যক্ষ দেখেন যে, যাঁর কাছে রামকৃষ্ণদেব পঁহুছিয়ে দিলেন, তিনি যে-বস্তু আর রামকৃষ্ণদেবও সেই বস্তু, তবে আকার-ভেদে, ভাব-ভেদে ও আস্বাদনে একটু তফাত থাকে। আস্বাদনে প্রভেদ, ইহার অর্থ - ভাবে প্রভেদ; ইহা কেমন জান? কোথাও ভগবান-বোধ থাকবে, কোথাও ভগবান-বোধ থাকবে না। যেমন তোমার কৃষ্ণে সখ্যভাব; তুমি কানাইকে পেলে কি প্রণাম করবে? না, তার পা-তলায় জোড়হাত করে বসবে? তুমি যেমন তোমার ইয়ারের সঙ্গে ব্যবহার কর, একসঙ্গে খাও, একসঙ্গে বস ইত্যাদি, ঠিক তেমনি করবে; কিন্তু রামকৃষ্ণদেবের উপর গুরু-ভাব অর্থাৎ ভগবান-ভাব প্রবল থাকবে। যদিও দুই-ই সেই এক বস্তু বেশ বুঝতে পারবে, তথাপি আকারের, রূপের ও ভাবের পার্থক্য এই প্রভেদটুকু থাকবে।
পা। সকল রূপেই কি সেই এক বস্তু, সেই এক ভগবান? কালী, কৃষ্ণ, রাম, শিব, রাধা, সীতা ইত্যাদি যাবতীয় আকার ও
No comments:
Post a Comment