Thursday, March 29, 2018

১২৫

মাত্র। অচৈতন্যে চৈতন্যসঞ্চার, আর পাষাণে প্রাণ-সঞ্চার - এ দুয়ে কিছুই তফাত নেই। রামরূপে প্রভু একটি মাত্র পাষাণীকে মানবিনী করেছিলেন; এবারে রামকৃষ্ণরূপে অপার দয়াভরে শত শত পাষাণ-হৃদয়কে সচেতন করে অপার মহিমা দেখালেন। চৈতন্য হলে জীবের কি প্রকার অবস্থান্তর হয়, তা মুখে বলা যায় না; সেজন্য তোমাকে বার বার বলেছি, রামকৃষ্ণলীলা বলবার নয়, শোনবার নয়, কেবল দেখবার।

পা। চৈতন্য হলে কি রকম হয়, যতটুকু পারেন বলুন।

ভ। চৈতন্যলাভ ও মহামায়ার প্রসন্নতালাভ - একই কথা। দেখ, যে কখনো থিয়েটার দেখেনি, পাড়াগেঁয়ে চাষা-ভূষো লোক - সে যদি তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, 'হে মশায়! থিয়েটারে কি দেখায়, কি আছে?' তাহলে তুমি তাকে কি বলবে বা কি বুঝাবে? এখানে তদ্রূপ - এ সৃষ্টি মায়ের রঙ্গালয়। এ জগতের মধ্যে আর এক জগৎ আছে। এ জগতের নাম বাহ্য-জগৎ, আর ভিতরে যে জগৎ আছে তার নাম অন্তর্জগৎ। বাহ্য-জগৎ অন্তর্জগতের সূচীপত্র-স্বরূপ। মা রঙ্গময়ী - এই জগৎদ্বয়ে যে রঙ্গ করছেন, তার নাম অবাক রঙ্গ। টিকিট কি ফ্রি পাশ যেমন তোমাদের থিয়েটারে প্রবেশের উপায়, বাহ্য-জগৎ থেকে অন্তর্জগতে প্রবেশের একমাত্র উপায় মায়ের প্রসন্নতা বা চৈতন্য। চৈতন্য হলে এ বাহ্য-জগৎকে আবার আর একরকম দেখবে, যদিও অচৈতন্যাবস্থার বাহ্য-জগৎ আর চৈতন্যাবস্থার বাহ্য-জগৎ একই, তবু চৈতন্যাবস্থায় দেখবে যে, তার পূর্বেকার প্রকৃতি, চেহারা, বর্ণ একদম অন্য রকমের হয়ে গেছে। সচৈতন্যে চোখ চেয়ে দেখা নয় - চোখ মুদে দেখা। আলোয়-আঁধারে সমান দেখা যায়। চামড়ার চোখ দুটি তখন নামমাত্র চোখ, দেখবার বেলা আর এক চোখের আবশ্যক। সে চোখে অবাক রঙ্গ দেখা যায়। অবাক রঙ্গে দু-একটি খেলা বলি শোন - তুমি একটি চৌদ্দপোয়া

No comments:

Post a Comment