Thursday, March 29, 2018

১১৩

কেউ বা গুঁড়ো হয়ে যায়। জাঁতায় যেমন কীলটি রয়েছে, তেমনি সংসারে ভগবান রয়েছেন। তুমি সংসারে ভগবানের কাছে যদি থাকতে পার, তাহলে আর পেষা যাবে না! জাঁতায় কীলের কাছে যেমন কলাই-দানাটি রক্ষা পায়, তুমিও তেমনি সংসারে ভগবানের কাছে থাকলে রক্ষা পাবে। কীল পরিত্যাগ করে জাঁতার অন্য স্থানে গেলেই জাঁতা তার কর্ম করবে। ঠিকঠিক তেমনি ভগবানকে ছেড়ে সংসারে থাকলেই ত্রিতাপ, অশান্তি অপরিহার্য ও অনিবার্য। ভগবান জীবকে আঁস্তাকুড় ও সোনা-কুড় দুটির কথা বলে দিয়ে সংসারে ছেড়ে দিয়েছেন। তুমি যদি আঁস্তাকুড়েই যাও, তিনি কি করবেন? ভগবান কল্পতরু, তুমি তাঁর কাছে যা চাইবে তিনি তাই দিবেন। চোর যখন মা-কালীর পূজা করে বর চায়, তখন কি তিনি বলেন যে তোকে বর দিব না। তিনি মানস-পূজার জন্য চোর ও সাধু উভয়কেই বর দেন। তিনি কর্মের সঙ্গে তার ফল বেঁধে রেখেছেন। চোর চুরির ফল পায়, সাধু তাঁর আরাধনার ফল পান। এখন তুমি বুঝলে তো যে, জীব নিজের দোষে কষ্ট পায় আর ভগবান দয়াময়, করুণাময় ও মঙ্গলময়।

পা। শোনা যায়, জীব মাতৃগর্ভে যোগাবস্থায় থাকে, ভগবানে সংযতচিত্তে থাকে, একথা সত্য কি?

ভ। ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের শ্রীমুখে এ বিষয়ে কিছু আমি নিজে শুনিনি বা অন্য কারও কাছে তিনি এ সম্বন্ধে যদি কিছু বলে থাকেন, তাও শুনিনি; তবে তিনি আমাকে যতটুকু বুঝাচ্ছেন, তাতে বোধ হয়, কথা সত্য। আরও একটি মহাজনপদে শুনেছি:

'গর্ভে যখন যোগী তখন, মাটিতে পড়ে খেলাম মাটি।'

মহাজন-বাক্য অবশ্য বিশ্বাসযোগ্য। জীবের শৈশবাবস্থায় প্রকৃত সাধকের লক্ষণ দেখা যায়, অনেক সময়েই বালকের মুখে সাক্ষাৎ ঈশ্বরের বাক্য শুনতে পাওয়া যায়। ঠাকুর রামকৃষ্ণও বলতেন,

No comments:

Post a Comment