কাছে যাবে; তাঁর কাছে যেতে হলে মনখানা পথে পড়ে থাকবে - এমন স্থলে বিচার, তর্ক, যুক্তি নিয়ে কি কাজ হবে? তার পক্ষে সহজ সরল উপায় হলো গিলে খাওয়া অর্থাৎ 'তুমি যা কর ঠাকুর' এ বলে সরল প্রাণে তাঁর শরণাপন্ন হওয়া। তাঁকে না পাও, তাঁর নামের আশ্রয় গ্রহণ কর।
মন-বুদ্ধি যতদিন গায়ে ময়লা মেখে ভূত হয়ে বসে থাকে, ততদিন হাঁকডাক জারিজুরি তৰ্জন-গর্জন করতে দেখতে পাওয়া যায়; আর যখন ময়লাটা কেটে যায়, তখন তাদের অবস্থা ঠিক নিমকখেকো প্রভুপরায়ণ কুকুরের মতো। মানুষকে ভূতে পাওয়ার কথা শুনেছ তো? ভূতে পেলে ও ভূত ছাড়লে যেমন অবস্থা, সমল অবস্থায় ও বিমল অবস্থায় মন-বুদ্ধির অবস্থাও তদ্রূপ।
মনকে যে ভূতটি পেয়ে বসেছে, সেই ভূতকে ছাড়াতে হলে অর্থাৎ সমল মনকে বিমল করতে হলে ভগবানের নামের শরণ লওয়া একটি সহজ উপায়। অবিরত সরল প্রাণে ভগবানের নাম করতে করতে সমল মন বিমল হয়। ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব বারবার বলেছেন, নামের অপার মহিমা। নামই বীজ, নামই গাছ, নামই ফল। নামের ভিতরেই ভগবান নিজে আছেন। কথায় বললে মানুষ সহজে নেয় না, তাই রামকৃষ্ণদেব জীব-শিক্ষার জন্য নিজে প্রাতঃসন্ধ্যা করতালি দিয়ে তালে তালে নাচতে নাচতে ভগবানের নাম নিতেন, নামে উন্মত্ত হয়ে যেতেন। তারপর নামোন্মত্ততা গভীর সমাধিতে পরিণত হতো। এতে ঠাকুর জীবকে দেখাচ্ছেন ও বলছেন, যে সমাধি জন্ম জন্ম বিবিধ কঠোর সাধনার ফল, সেই সমাধি নামের বলেও পাওয়া যায়। এ বিষয়টি অর্থাৎ নামের বলে সমাধিমান হওয়া কেমন, তা তিনি একটি বিশেষ উপমা দিয়ে বুঝাতেন - যথা, এক সাধু-বৈষ্ণব প্রথমে এই বলে সঙ্কীর্তন আরম্ভ করলেন, 'গৌর আমার মাতা হাতি।' ক্রমাগত 'গৌর আমার মাতা হাতি' বলতে বলতে যখন
No comments:
Post a Comment