দেহধারী লীলাক্ষেত্রে যতই সামান্য বেশে থাকুন না কেন, চৈতন্যবান ঠিক তাঁর স্ব-স্বরূপ দেখতে পান। চৈতন্যের সহায়ে রামকৃষ্ণভক্তেরা তাঁদের সেই দীনবেশধারী ঠাকুরকে দীননাথরূপে দেখছেন; নিরক্ষরবেশে তাঁকে সর্বজ্ঞরূপে দেখছেন; তাঁর ঐশ্বর্যহীনতার মধ্যে তাঁকে ষড়ৈশ্বর্যবান দেখছেন ও সসীম আকারের মধ্যেই তাঁকে অসীম দেখছেন। রামকৃষ্ণদেবের পাদপদ্মে সরল বিশ্বাস রেখে চল, সত্বর পূর্ণমনোরথ হবে। অবতাররূপী ঈশ্বরের রূপান্তর দেখে, কি তাঁর কোন অমানুষী শক্তির পরিচয় নিয়ে, তাঁকে বিশ্বাস করবার কল্পনা আর তাঁকে ঘোর অবিশ্বাস করা, একই কথা। কথাটা খুলে বলি শোন - তুমি বলবে, যদি রামকৃষ্ণদেব তাঁর ঐ রূপে আমাকে কালী, কৃষ্ণ, কি রামরূপ দেখান, তাহলে আমি তাঁকে ভগবান বলে মানতে পারি - এরূপ ধারণা-স্থলে বুঝে নিও, এ আর কিছুই নয়, কেবল ঘোর অবিশ্বাস মাত্র। যার একরূপে বিশ্বাস না হয়, তার কোনরূপেই বিশ্বাস হবে না। মানুষের বুদ্ধির তারিফ দেখ, অকূল সাগর-পারে যেতে একখানি কাঠের তক্তার উপর বিশ্বাস করছে; এ ভয়ঙ্কর সংসারে মূর্তিমতী অবিদ্যার হাতে মন-প্রাণ দিতে বিশ্বাস করছে, কিন্তু রামকৃষ্ণপাদপদ্মে বিশ্বাসের সময় মানুষের যত আশঙ্কা, সন্দেহ, যত তর্ক ও যত বিচার। মানুষ যত বাহাদুর, মানুষের যতটা দৌড়, তা আমি বিশেষ জেনেশুনে একটা আক্কেল পেয়েছি এবং সেই আক্কেলমত বলছি - ভাই, চিবিয়ে খেয়ো না - গিলে খাও; চিবিয়ে খাওয়া কাকে বলে জান? তর্ক-যুক্তি-বিচার-সহায়ে বিশ্বাস করবার চেষ্টার নাম চিবিয়ে খাওয়া। তুমি যাদের উপর ভরসা রেখে যেতে মনে করছ, তাদের ততদূর যাবার গায়ে বল নেই। ভগবান তর্ক, যুক্তি ও বিচারের পার; তিনি ইন্দ্রিয়াতীত, মনাতীত। তোমার একমাত্র পুঁজি তোমার মনখানা - সে মনের কি সাধ্য যে, তাঁর
No comments:
Post a Comment