পাবে ঠিক কুমোরের চাকার মতো কল্পনার চাকা রাত-দিন ঘুরছে। এ ঘুরুনিটি বন্ধ করা চাই; এর নাম নিবৃত্তি। এটি দু উপায়ে হয়। প্রথম ও প্রধান উপায় - ঈশ্বরের নাম করা, তাঁর সেবা করা, সাধু-সঙ্গ করা, তত্ত্বালাপ করা, মধ্যে মধ্যে নির্জনে বাস করা ও তাঁর কাছে প্রার্থনা করা।
পা। প্রার্থনায় কি বলতে হবে? কি বলে প্রার্থনা করতে হবে?
ভ। বলতে হবে, হে ভগবান! তুমি বই আর আমার কেউ নেই, যারা বা যা আছে, এ কেবল দুদিনের জন্য, আর বলতে হবে, আমাকে ভক্তি দাও। ভক্তি ছাড়া আর কিছুই চাই না। ভক্তির বলে আমার মন যেন সর্বদা তোমার পাদপদ্মে লগ্ন থাকে।
পা। নিবৃত্তির আর দ্বিতীয় উপায় কি?
ভ। নিত্যানিত্য বা সদসৎ বস্তুর বিচার। এ সম্বন্ধে ঠাকুরের উপদেশ, ছোট বাসনাগুলি ভোগ করে নিও, আর বড়গুলিকে বিচার দ্বারা মন থেকে তাড়িয়ে দিও। প্রবৃত্তির নিবৃত্তি করার নাম (ঠাকুরের কথায়) মনের মোড় ফিরিয়ে দেওয়া। মন যাচ্ছিল মেটেবুরুজের দিকে, তাকে দক্ষিণেশ্বরের দিকে ফিরিয়ে দেবার নাম মোড় ফিরানো! এ মোড় ফিরাতে হলে, মন যে-সঙ্গে ছিল, তাকে অন্য সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে; মন যে-সংকল্পে ছিল, তাকে বিপরীত সংকল্পে আনতে হবে, মন যে-কাজে ছিল তাকে ভিন্ন কাজে আনতে হবে। এখানে তোমাকে একটা কথা বলি, দেখ, মনই সকলের গোড়া। মন ফিরলেই সব ফিরবে। শরীরটাকে যাবতীয় কাজে একা মনই বেদের বানরের মতো নাচিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। সে যা বলছে, শরীরটাকে তাই করতে হচ্ছে। মনকে বলতে হবে, ভাই ওদিকে যেও না, ও-জিনিস চেও না, ও পাবার জন্য ভেব না আর ওদের সঙ্গে থেকো না। এদিকে এস, এ চিন্তা কর, আর এখানে থাক, এর নাম মোড় ফেরানো। প্রবৃত্তির পথের মতো নিবৃত্তিতেও
No comments:
Post a Comment