চাই, বাটা চাই, উদরস্থ করা চাই, তবে নেশা হবে। কর্মই প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তির মূল। প্রবৃত্তিমার্গে যেমন প্রবৃত্তি-কর্মযোগে প্রবৃত্তি-রাজ্যে এসে পড়েছি, তেমনি নিবৃত্তিমার্গে নিবৃত্তি-কর্মযোগে নিবৃত্তি-রাজ্যে আসতে হবে। উভয় স্থানেই সেই এক কর্ম। কর্মের সাধারণ নাম কর্ম বটে, কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির কর্ম আছে; সুতরাং তাদের ফলও নানাপ্রকার। আম, কাঁঠাল, আতা, আনারস এগুলিও ফল, আবার কুঁচলেও ফল। আম আতা দেহের পুষ্টিকারক, আর কুঁচলে প্রাণনাশক; সেপ্রকার কর্মও নানা জাতির, কোন কর্ম বাঁচায়, কোন কর্ম নষ্ট করে। প্রবৃত্তিমার্গের কর্মাচরণ কেবল তৎপ্রকৃতি অনুযায়ী কর্মকে বৃদ্ধি করে ও জীবকে দুর্ভেদ্য ও অচ্ছেদ্য বন্ধনে বদ্ধ করে; আর নিবৃত্তিমার্গের কর্মে কর্মের হ্রাস হয় ও বন্ধন-মুক্তি হয়।
পা। আপনি যে যে কার্যের সহায়ে নিবৃত্তিতে আসতে হবে বলেছেন, এ-সব ভারি কঠিন। সংসারে ঘোর ভোগবাসনার আসক্তি। এ আসক্তি যে কিছুতেই ছাড়তে চায় না - এর উপায় কি?
ভ। ফিরে ঘুরে প্রকারান্তরে সেই এক কথা। ছাড়বার মতো কর্ম কর। একেবারে ছাড়ে না বটে, কিন্তু ক্রমে ক্রমে যে ছাড়বে না, এমন কিছু কথা নয়। মহাব্যাধির সত্বর আরোগ্য হয় না, তবে রীতিমত ঔষধ পেলে ক্রমে ব্যাধি হতে মুক্তি হয়। তেঁতুলতলায় বাস করে তেঁতুল খেয়ে রোগ হয়েছে; এখন নিমতলায় যাও, নিমপাতা খাও, নিমতলায় বসতি কর, তবে রোগ যাবে। তুমি এখনও সে তেঁতুলতলায় রয়েছ, এখানে থেকেই রোগ গেল না, রোগ গেল না বলে চেঁচালে কি হবে?
পা। খুব সহজ উপায় কি বলুন দেখি, যাতে ঈশ্বরলাভ হয়?
ভ। ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব এ সম্বন্ধে একটি গীত গাইতেন, সে গানটি শোন -
No comments:
Post a Comment