তরঙ্গ এত প্রবল যে, সেখানে কোটি কোটি অপরাধের সাগর ঢেলে দিলে কোথায় যে তলিয়ে যায়, তার আর খোঁজ-খবর পাওয়া যায় না!
দয়াময় রামকৃষ্ণদেবের কাছে তাঁর অপার করুণার আভাস পেয়ে গিরিশবাবুই ঠাকুরের চরণ দুটি লক্ষ্য করে বলেছিলেন, 'হায় হায়! পাপ ঢালবার এমন নর্দমা পাব বলে যদি আগে জানতাম, তাহলে মনের সাধে পেট ভরে পাপ করে পাপ করার সাধ মিটিয়ে নিতাম। এখন দর্শন করেছি আর পাপ করবার উপায় নেই।'
পা। কেন মহাশয়, রামকৃষ্ণদেবকে দর্শন করলে কি আর পাপকর্ম করা যায় না?
ভ। সাধ্য কি? ভগবদ্দর্শনের অদ্ভুত ফল। যেমন প্রজ্বলিত আগুনে শুষ্কপাতা চকিতে ভস্মীভূত হয়, তেমনি তাঁর দর্শনমাত্রেই কোটি কোটি জন্মের যাবতীয় পাপরাশি একেবারে বিনষ্ট হয়। পাপনাশের সঙ্গে আর একটা নাশ হয় - সেটা কি জান? সেটা পুনর্জন্মের অঙ্কুর। ঈশ্বরদর্শন হলে আর জন্ম হয় না। একটি গানের একটুকু বলি, শোন,
"জয় জগতজীবন জগবন্ধু।
শুনেছি পুরাণে কয়, পুনর্জন্ম নাহি হয়, বারেক হেরিলে মুখ-ইন্দু॥"
পাপ-মুক্তির পর অন্তর পবিত্র হলে জীব আর পাপকার্য করতে পারে না।
পা। জীবে যদি ভগবানের এত দয়া, তবে লোকে যে রোগে, শোকে, অর্থাভাবে অশেষ কষ্ট পাচ্ছে, তিনি মুক্ত করেন না কেন?
ভ। তুমি যদি নিজের হাতে নালা কেটে বন্যার জল ঘরে ঢুকাও, তাহলে ভগবানের দোষ কি? কর্মের একটা ফল আছে, কর্তাকে কর্মফল ভোগ করতে হয়, একথা স্বীকার কর তো? তিনি যে কাজ করতে তোমাকে নিষেধ করছেন তুমি তাই করছ। তিনি বলছেন,
No comments:
Post a Comment